হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহমাতুল্লাহ আলাইহির মৃত্যুর পরেরদিন থেকে দেশের এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া জগতে বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি এবং খবর খুবই ভাইরাল হয়েছে তা হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহমাতুল্লাহ আলাইহির মৃত্যুর খবর শুনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়েছেন, মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং সমবেদনা জানানোর জন্য হাসপাতালে ছুটে গেছেন। শুধু তাই নয় আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহমাতুল্লাহ আলাইহির দাফন কাফন জানাযায় জামায়াত-শিবিরের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সাবেক এমপি, চট্টগ্রামের কৃতিসন্তান, অবিসংবাদিত নেতা শাহজাহান চৌধুরী সাবেক এমপি এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল সালাউদ্দিন আইয়ুবী সহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন শুধু তাই নয় আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহমাতুল্লাহ আলাইহির সম্মানার্থে উনার কফিন বহন করেছেন, কাঁধে নিয়েছেন। আল্লামা শফীর রহঃ মরদেহ জামায়াত নেতৃবৃন্দের কাঁধে দেখে দেশবাসী সত্যি অভিভূত হয়েছে। বিশেষ করে যারা রাজনীতি সচেতন এবং দেশের রাজনীতির প্রতি যাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে তাদের মাঝে এই বিষয়টি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। আমার কাছে ব্যাপারটা টক অব দ্য কান্ট্রির মতোই মনে হয়েছে। মনের মাঝে উঁকি দিয়েছে একজন আলেমে দ্বীনের মৃত্যুতে শোক জানাতে জানাযায় শামিল হতে ইসলামী কাফেলার সৈনিকরা যাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই ব্যাপারটা আবার টক অব দ্য কান্ট্রি হবে কেন! এই প্রশ্নটা বারবার মনের মধ্যে ঘুরপাক খাওয়ার কারণে আজকের এই লেখা। এর কারণটা একটু পিছনে, বর্তমান এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কোনকিছুকেই ঢেকে রাখা যায় না, আর সত্য তো একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। এদেশের সাধারণ মানুষ বিগত শতাব্দীর দুই-তৃতীয়াংশ সময় থেকে দেখে এসেছে, এ দেশের কওমী অঙ্গন থেকে, বিশেষ করে দেওবন্দ ও কওমী আকাবিরদের পক্ষ থেকে উপমহাদেশের দ্বীন কায়েমের সর্ববৃহৎ ও সুসংগঠিত ইসলামী কাফেলার প্রতি এবং কাফেলার নকীব সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর রহঃ প্রতি বিদ্বেষ, মিথ্যা অপবাদ এবং এইসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ফতোয়ার বান নিক্ষেপ, ভ্রান্ত আকিদা, জামায়াত একটি নতুন ফেতনা এসব বক্তব্য প্রদান করে আসছেন, তৌহিদী জনতার মাঝে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। এর ফল এদেশের ইসলাম বিরোধী শক্তি ভালোভাবেই উপভোগ করেছে। কওমি ওলামা মাশায়েখগন যতই ভ্রান্ত বলুক না কেন, যত ফতোয়া প্রদান করুক না কেন, এদেশের সাধারণ মানুষ দেখেছে জামায়াতের পক্ষ থেকে, জামায়াত নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে কখনোই ঐসকল ফাতওয়া কিংবা মিথ্যা অপবাদের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি যদিও সমোচিত জবাব ছিল। ফতোয়ার জবাবে ফতওয়া দেওয়া হয়নি, মন্দের জবাব ভালো কথা দিয়েই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন আল্লামা সৈয়দ আবুল আ’লা মওদুদী রহঃ ও তার প্রতিষ্ঠিত ইসলামী কাফেলা, জামায়াতে ইসলামী। তারপরও সত্তর আশি বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরও কওমি ওলামায়ে কেরামকে জামায়াত বিরোধী মনোভাব ত্যাগ করতে কিংবা দ্বীন কায়েমের আন্দোলনের পথে আনা সম্ভব হয়নি। বিগত শতাব্দীর আশির দশকের শেষে এদেশে কওমি ঘরণার সবচেয়ে বড় মুরুব্বি হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহঃ এর ইকামতে দ্বীনের কাজ করা ফরজ এই অনুভূতি জাগ্রত হলে, জীবনের এতোগুলো বছর ইকামতে দ্বীনের কাজ করা ফরয, সে কাজ কেন করেননি এ জন্য মহান আল্লাহর নিকট তওবা করে, বাকি জীবন দ্বীন কায়েমের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও কি এক অদৃশ্য সুতার টানে জামায়াত বিরোধী মনোভাব ত্যাগ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তাই বলে এ দেশের সর্ববৃহৎ সুসংগঠিত দ্বীন কায়েমের কাফেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কিংবা ইসলামী ছাত্রশিবির ওলামায়ে কেরামর যেকোনো সমস্যায় সবার আগে এগিয়ে এসেছে, নিজেরাই ঢাল হয়ে ওলামায়ে কেরামকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে, অনেক ময়দানে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রক্তের বিনিময়ে হলেও ওলামায়ে কেরামকে হেফাজত করার চেষ্টা করেছে, এর বিনিময় জামায়াত-শিবির দেওবন্দ ও কওমী ওলামায়ে কেরামের নিকট থেকে এতোটুকু সহযোগিতা সহানুভূতি আশা করে নাই। আর এদেশের সাধারণ মানুষ লক্ষ্য করেছে ওলামায়ে কেরাম কোনদিনই সহযোগিতা, সহানুভূতি কিংবা ভালোবাসা দেওয়ার চেষ্টাও করে নাই। শুধু দূর থেকে ভুল ধরে গেছে, ফতোয়ার বান নিক্ষেপ করেছে কিন্তু ভালোবেসে কাছে এসে সংশোধনের উদ্দেশ্যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই।
এদেশের তৌহিদী জনতা দারুন উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছে যে “দারুল হরব”-এ বসবাসকারী আকাবিরগনের অন্ধ অনুকরণ ও অনুসরণ করেই আমাদের দেশের কওমি মাশায়েখগণ সারা জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। আমাদের এ দেশ দারুল হরব নয়, দারুল হরবে যা কোনদিন কল্পনাও করা যায় না, তা আমাদের এ দেশে সম্ভব। আমাদের এই দেশ পুরোপুরি দারুল ইসলাম না হলেও দারুল ইসলাম এর কাছাকাছি। এখানে ইসলামী হুকুমতের আওয়াজ তোলা যায়, শরিয়া আইন চালুর স্লোগান দেওয়া যায়, ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করা যায়, সর্বোপরি জনমত যাচাইয়ের ভিত্তিতে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত পেলেই এদেশে শরিয়ার বিধান চালু করা সম্ভব হবে বলেই, এদেশে অনেক ইসলামিক দল গঠিত হয়েছে এবং তারা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত হয়েছে। যা দেওবন্দ আকাবিরদের দেশে কোনদিনই সম্ভব হবে না।এ প্রসংগে একটি কথা মনে পড়ে গেল। একদা শিকারীর ফাঁদে পড়ে এক শিয়ালের লেজের গোড়া থেকে বিছিন্ন হয়ে লেজ কাটা যায়। নিজের লেজ যেহেতু নাই তাই সকল শিয়ালকে ডেকে সবারই লেজ কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়ার জন্য একটি বৃহৎ শিয়ালসভার আয়োজন করল। শিয়ালদের এই মিটিং এর আহব্বায়ক সভার শুরুতেই শেয়ালদের উদ্দেশ্যে নাতিদীর্ঘ বক্তব্য দিল, ভাইয়েরা আমাদের শরীরের এই বাড়তি অংশ লেজটির কোন প্রয়োজন নেই, ময়লা ধুলাবালি এর মধ্যে আটকে থাকে, দেখতে খারাপ লাগে, অনেক সময় চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। শিকার করতে গেলে চিপার মধ্যে আটকে যাওয়ার ভয় লাগে, দুই পা ওয়ালা মানুষেরা অনেক সময় লেজ ধরে আমাদেরকে আটকে ফেলে, তাই আসুন সকলে মিলে শরীরের এই বাড়তি অংশটি কেটে ফেলি, তাহলে আমরা স্মার্ট হয়ে যাব। উপস্থিত অনেক শিয়াল এই কথায় একমত হয় এবং নিজ নিজ লেজের অপকারিতা সম্পর্কে একথা ওকথা বলতে থাকে। কিন্তু সেই জঙ্গলে একটা অভিজ্ঞ জ্ঞানী শিয়াল ছিল, সে তাকিয়ে দেখে পরামর্শদাতা শেয়ালের নিজেরই লেজকাটা, তার নিজের লেজ নাই, তখন ওই বুদ্ধিমান শিয়াল মিটিং এর আহবায়ক শিয়ালের মতলবটা ভালো করে বুঝতে পারল। বিচক্ষণ ও জ্ঞানী শিয়াল দাঁড়িয়ে তার বক্তব্যে বলল, ভাইসব আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, শরীরের যে অংশে যেমন অঙ্গের প্রয়োজন হয় ঠিক সেই অংশে সেই নির্দিষ্ট অঙ্গ দিয়েছেন। এই লেজ দিয়ে শরীরের পোকামাকড় তাড়াতে পারি, শরীরকে পরিষ্কার করতে পারি এ জন্যই সৃষ্টিকর্তা শরীরের পিছনের অংশে লেজ দিয়েছেন। কিন্তু আপনারা ভালো করে দেখুন লেজ কেটে ফেলার কথা যে বলতেছে তার নিজেরই লেজ কাটা, তার নিজের লেজ নেই, তাই সকলকে সে লেজ কাটার পরামর্শ দিচ্ছে। যাতে বনের সকল শিয়ালেই লেজবিহীন হয়ে যায়। একথা শুনে সকলেই আহব্বায়ক শেয়ালের দিকে তাকাতেই সে ভো মেরে দৌড় দিয়ে পালিয়ে গেল। আমাদের দেশের কওমি ওলামা মাশায়েখগণ লেজকাটা শিয়ালের গল্প থেকে কবে শিক্ষা গ্রহণ করবেন আল্লাহ মালুম।
পাক-ভারত উপমহাদেশের রাজনৈতিক সচেতন মহল খুব ভালো করেই জানেন দেওবন্দ আকাবিরগনের সাথে আল্লামা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর মতবিরোধ ছিল রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে, দ্বিজাতিতত্ত্বের বিষয় নিয়ে। ইসলামবিরোধী রাজশক্তির লেজুড়বৃত্তি করা নিয়ে। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হলো দেওবন্দ আকাবিরগন যখন আল্লামা মওদুদী সাথে রাজনৈতিক বিরোধ গুলোকে ধর্মীয় মোড়কে ব্যক্তিগত হিংসা-বিদ্বেষ মিথ্যা অপবাদের পর্যায়ে নিয়ে আসে। তখন অবস্থা এমন হয় যে এদেশের হাজার হাজার বিদ্বান পণ্ডিত ওলামা মাশায়েখগণ চিলে কান নিয়েছে শুনেই চিলের পেছনে ছুটা শুরু করে, নিজের কানে হাত দিয়ে পরখ করেনি কান আছে কিনা। এইরকম বাস্তবতার আলোকে দেখা যায় দেশের বড় বড় কওমি ওলামা মাশায়েখগন তৌহিদী জনতার আখাংকা প্রতিফলনসহ দ্বীন কায়েমের প্রয়োজনীয়তা খালেস নিয়তে অনুভব করেননি। মানুষেরই ভুল হয়, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ও মানুষ, তাদেরও ভুল হওয়াই স্বাভাবিক, এই পৃথিবীতে কেউই ভুলের উর্ধ্বে নয়। কিন্তু তাই বলে মতের মিল না হলেই, আকাবিরগনের মনের মত না হলেই, দ্বীন কায়েমের একটি কাফেলার বিরোধিতা করতে হবে এটা কোন দিনই হতে পারে না। শুধু তাই নয় শুধুমাত্র এদেশের জমিনে দ্বীন কায়েমের পতাকা বুলন্ধ করার জন্য, ইসলামবিরোধী পরাশক্তির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কারণেই স্বাধীনতা বিরোধী অজুহাতে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে একের পর এক শহীদ করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোন শোক বাণী, সহমর্মিতা কিংবা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়নি। এমনকি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হলেও ২/১ জন বাদে কওমি ওলামায়ে কেরাম কিংবা হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে সাঈদী সাহেবের মুক্তির জন্য জোরালো কোনো দাবি কিংবা আন্দোলন গড়ে তোলা হয়নি। এত কিছুর পরেও হেফাজতে ইসলামীর আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর (রহঃ) জানাযায় জামায়াত-শিবিরের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে আল্লামা শফীর কফিন কাঁধে বহন করে, চট্টগ্রামে রাস্তাঘাটে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা আল্লামা শফীর (রহঃ) জানাজায় আগত মুসল্লিদের কে ঠান্ডা পানীয় শরবত পান করিয়ে যে নজির সৃষ্টি করেছে এটাই ছিল আজকের বাংলাদেশের টক অব দ্য কান্ট্রি। কারণ এদেশের সাধারণ মুসলমান যা মনে করে আমিও তাই মনে করি। তা হল ছোটখাটো বিষয়ে ভুল ভ্রান্তি হতেই পারে, বিভিন্ন ব্যাপারে মতের অমিল হতেই পারে কিন্তু বাংলার এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে কোন অমিল হতে পারে না। ঠিক তেমনি ভাবে দ্বীন কায়েমের আন্দোলনের নেতাকর্মীদের একে অপরের দুর্দিনে, সমস্যায়, বিপদাপদে মতের অমিল বলে সাহায্য সহযোগিতা না করে দূরে বসে তামাশা দেখা, কিংবা মনে মনে খুশি হওয়া, কোনক্রমেই চলতে পারে না হতে পারে না। কারণ এসব বিষয়ে মতের অমিল হওয়া মানেই হচ্ছে দ্বীন কায়েমের আন্দোলনের সৈনিকদের কে, সিপাহসালারদেরকে দুর্বল করে দেওয়া, নিঃশেষ করে দেওয়া, আর এই কাজে কে বেশি খুশি হয় সেই প্রশ্ন ঐ সমস্ত ওলামায়ে কেরামদের কাছে। যারা এতদিন সাহায্য সহযোগিতাতো করে নাই বরংচ বিরোধিতা করে জীবন পার করতেছেন। এদেশের জনগণের তথা তৌহিদী জনতার একটাই দাবি ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে মতবিরোধ ভুলে গিয়ে, একে অপরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে, ভাই ভাইয়ের ত্রুটি সংশোধনের উদ্দেশ্যে, দরদ মাখা মন নিয়ে একে অপরের কাছে আসুন, বসুন, যেসব বিষয়ে মতবিরোধ আছে কথা বলে দূর করুন, কারণ জামায়াত কখনোই এটা বলে না যে তারা ভুলের উর্ধে।
শুধুমাত্র সমালোচনার উদ্দেশ্যে দোষ খুঁজে বেড়ালে চলবে না, সংশোধনের উদ্দেশ্যে কাছে আসতে হবে, কারণ দূর থেকে সমালোচনা করে পৃথিবীর বুকে কেউ কাউকে সংশোধন করতে পারেনি, এটা রাসুল (সঃ) কিংবা সাহাবায়ে আজমাইনের সুন্নত নয় । সংশোধন করতে চাইলে কাছে আসতে হবে, কথা শুনতে হবে, যে বিষয়ে সমালোচনা করেন, সংশোধন করতে চান সেই বিষয়টি পুরোপুরি জানতে হবে, বুঝতে হবে তারপরেই তো প্রয়োজন মনে করলে সংশোধনের প্রশ্ন আসে। এদেশের তৌহিদী জনতা বিশ্বাস করে ইকামতের দ্বীনের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী ওলামায়ে কেরামের মতামতকে কখনোই উপেক্ষা করতে পারে না। দেশবাসী মনে করে সময় এসেছে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে, আওয়াজ তুলতে হবে।
দেওবন্দ নয় দিল্লি নয়,
আল ইসলাম আল ইসলাম।
পদ্মা মেঘনা সুরমা-
তিস্তা কর্নফুলী যমুনা,
বাংলার মুসলিম উম্মাহর ঠিকানা