শতবর্ষ ব্যাপী দখলদার অভিশপ্ত ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের প্রকৃত অধিবাসী আরব মুসলিমদের উপর গণহত্যাকে কেন্দ্র করে আধুনিক সভ্যতার দাবিদার রাষ্ট্রসমূহের মুখোশ সত্যিই উন্মোচিত হয়ে গেলো। আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পারমাণবিক শক্তিধর ইসরায়েলের বিপক্ষে ফিলিস্তিনের যোদ্ধার হাতে পানির পাইপের তৈরি রকেট ও রাস্তার পাথরের গুলতি । সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইহুদী সৈনিকদের হাতে একে-৭৪ ও এ-১৬ রাইফেল এর বিপরীতে ফিলিস্তিনি সাধারণ নাগরিক ও শিশুরা পাথর হাতে দাঁড়িয়ে আছে। অপরদিকে ইসরায়েলের ইহুদীরা হাজার হাজার সামরিক সাজোয়া যান, আধুনিক ট্যাংক, ভারী কামান, মর্টারসেল, উপরে F-16 জঙ্গি বিমান ও আধুনিক ড্রোন নিয়ে ফিলিস্তিনের উপর হামলা করছে। লড়াকু ফিলিস্তিনিরা পানির পাইপের তৈরি রকেট ও পাথর হাতে গুলতি মেরে ইহুদীবাদী আগ্রাসন প্রতিহত করতে চাচ্ছে। এ যেন -” মরার উপর খাড়ার ঘা”। তারপরেও মনে হয় ইসরায়েলের অস্ত্রে ঘাটতি দেখা দিয়েছে, তাই তো পাশ্চাত্য সভ্যতার দাবিদাররা ইসরায়েলের জন্য হা-হুতাশ করে কেউ সমর্থন দিচ্ছে, কেউ অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার অঙ্গীকার করছে, আবার বড় দাদা যুদ্ধবিমান সজ্জিত রনতরী সাগরে ভাসিয়েছে ।
পাশ্চাত্য মিডিয়া এবং দখলদার ইসরায়েলের সমর্থনকারীরা বলে মুসলিমদের নবীর আমলে মাদিনা এবং খয়বার থেকে ইহুদীদেরকে উৎখাত করা হয়। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর সময় ইহুদীদেরকে উৎখাত করে জেরুজালেম অর্থাৎ ফিলিস্তিন দখল করা হয়। এই বলে তারা প্রমাণ করতে চায় যে ফিলিস্তিন ইহুদীদের আদি বাসভূমি। সেই হিসেবে দেখা যায় আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে মুসলিমরা ইহুদীদের আবাসভূমি কেড়ে নিয়েছিল। তাদের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করতে চাই, তারও আগে ইহুদীরা আরব ভূমিতে আসলো কিভাবে?
আমরা সকলেই জানি ইব্রাহিম (আঃ) ইরাকে বসবাস করতেন। ইব্রাহিম আঃ তাঁর শিশু পুত্র ইসমাইল ও বিবি হাজেরাকে কাবা ঘরের সন্নিকটে নির্বাসনে রেখে পুনরায় ইরাকে ফিরে গিয়েছিলেন। আরবসহ মক্কা তখন জনবসতি শূন্য ছিল। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ও মা-হাজেরাকে কেন্দ্র করে আরবের মক্কায় বসতি স্থাপন শুরু হয়। পরবর্তীতে ইব্রাহিম (আঃ) এর আরেক স্ত্রী বিবি সারার ঘরে জন্ম গ্রহণ করে ঈসাহাক (আঃ)। ঈসাহাক (আঃ) এর পুত্র ছিলেন ইয়াকুব (আঃ)। ইয়াকুব (আঃ) এর বংশধরদেরকে বনী ইসরায়েল বলা হয়। কোরআন বাইবেল ও তাওরাতসহ সকল গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে ইয়াকুব (আঃ) তার বংশধরদেরকে নিয়ে কয়েক হাজার কিঃমিঃ পাড়ি দিয়ে মিশরে গিয়েছিলেন পুত্র ইউসুফ (আঃ) এর নিকট। এরপর বনি ইসরায়েলগণ মিশরে বসতি স্থাপন করে স্থায়ী হয়। পরবর্তীতে হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর ছেলে ‘লাভি’ এর বংশ থেকে হযরত মুসা (আঃ) ও হযরত হারুন (আঃ) জন্মগ্রহণ করেন। এ ঘটনা আমরা সকলেই জানি যে মিশরের শাসক ফেরাউনের ভয়ে মূসা আলাইহিস সালাম সকল বনি ইসরায়েলদের নিয়ে লোহিত সাগর পার হয়ে আরব ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন।
মুসলিম ইহুদী খ্রিস্টানরা সকলেই উক্ত ঘটনা জানি ও বিশ্বাস করি। উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি পাশ্চাত্য মিডিয়া এবং সভ্যতার দাবিদার রাষ্ট্রসমূহের প্রধানদেরকে জিজ্ঞেস করতে চাই আপনাদের সাধারণ বিবেক-বুদ্ধি ও জ্ঞান কি লোভ পেয়েছে। নাতির পুত্ররা পৃথিবীতে আগে আসে নাকি দাদার বাবার বড় ভাই পৃথিবীতে আগে আসে, –আপনাদের বিবেক কি বলে? ইয়াকুব (আঃ) এর পিতা ইসহাক (আঃ) এর বড় ভাই হযরত ইসমাইল (আঃ) দুগ্ধপোষ শিশু অবস্থায় আরব ভূখণ্ডে পা রাখেন। আরব ভূখণ্ড জুড়ে হযরত ইসমাইল (আঃ) এর বংশধরেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। সম্পর্কের দিক থেকে হযরত ইসমাইল (আঃ) তাঁর ছোট ভাইয়ের পুত্র ইয়াকুব (আঃ) এর সন্তানদের দাদা হন। হিব্রু বাইবেল অনুসারে তাদের নাম হলো— রেবূন, সিমোন, লাভি, জুদাহ(ইয়হুদা), দান, নাফতালি, গাদ, আশের, ইসসাচার, জেবুলুন, যোসেফ(ইউসুফ), এবং বেনিয়ামিন। ইসমাইল (আঃ) এর ছোট ভাইয়ের ঘরের নাতি জুদাহ বা ইয়াহুদার নামে তাদের পরবর্তী সন্তানদের বংশ পরিচয় হয় ইয়াহুদি বা ইহুদি।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেমন করুণা বর্ষণ করেছিলেন বনি ইসরাইলের উপর ঠিক তেমনিভাবে লানত/অভিশাপ বর্ষন করেছিলেন তাদের উপর। মিশর থেকে ফেরার পথে তারা মহান আল্লাহর নাফরমানি করে লানত /অভিশাপ প্রাপ্ত হয়, এরপরে অভিশপ্ত ইহুদীরা কোথাও স্থায়ীত্ব লাভ করতে পারিনি। দেশে দেশে ভূখণ্ডে ভূখন্ডে তারা ঘুরে বেড়িয়েছে। দেশ দেশান্তরে ঘুরে বেড়ানো ইহুদী সম্প্রদায় তাদের দাদার বড় ভাই হযরত ইসমাইল (আঃ) এর আগে কি আরব ভূখন্ডে প্রবেশ করেছিল? প্রকৃতপক্ষে হযরত ইসমাইল (আঃ) যখন আরব ভূখণ্ডে পা রাখেন তখন তাদের দাদা ইসহাক (আঃ) এর জন্মও হয়নি। তাদের পিতা হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর জন্ম হয়েছিল আরো অনেক পরে। তাহলে আরব ভূখন্ডে হযরত ইসমাইল (আঃ) এর বংশধরদের চেয়ে নাতির পরবর্তী বংশধর ইহুদী সম্প্রদায় কিভাবে অগ্রাধিকার পাবে। ইতিহাসের এই ঘটনাগুলো পাশ্চাত্য মিডিয়া বা রাষ্ট্র প্রধানগন কিভাবে অস্বীকার করবেন?
পাশ্চাত্য রাষ্ট্রগুলো আধুনিক সভ্যতা ও মানবতার দাবিদার। তাহলে দখলদার ইহুদীরা ফিলিস্তিনের স্থায়ী অধিবাসীদেরকে উদ্বাস্ত বানিয়েছে, তাদের বাকশক্তি হরণ করেছে, স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে ফিলিস্তিনিদের বুকে গুলি চালাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি যুবক বৃদ্ধ নারী শিশুকে বন্দী করে রেখেছে, তারপরও সেই দখলদার ইহুদীদেরকে যারা সমর্থন করে তাদেরকে সভ্যতা ও মানবতার দাবিদার কিভাবে বলা যায়? তারা অসভ্য, জঙ্গলী ও নির্মমতার উত্তরসূরী হতে পারে।
আজকের তথাকথিত সুসভ্য খ্রিষ্টান জাতির মনে রাখা উচিত– তাদের নবী ঈসা আঃ এর সমগোত্রীয় ইহুদীরা তাঁর বিরুদ্ধে রোমান প্রশাসনকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি ঈসা (আঃ) কে নির্যাতন ও শুলবিদ্ধ করে হত্যার ষড়যন্ত্রে রোমান সম্রাটের সাথে ইহুদী ধর্ম-যাজকদের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল, মহান আল্লাহ নিজেই ইহুদী ও রোমানদের এই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেন। এই ইহুদী সম্প্রদায় ঈসা (আঃ) এর বাণী প্রচারে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করেছিল। তারা ঈসা (আঃ) কে রাসুল হিসেবে মানতে অস্বীকার করেছিল। এমনকি এই ইহুদী সম্প্রদায় রোমান সম্রাটের উপর প্রভাব বিস্তার করে ঈসা (আঃ) এর অনুসারী খ্রিস্টানদের উপর অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে ও তাদেরকে খুঁজে খুঁজে ধরে এনে হত্যা করেছে। ইহুদী ও রোমান প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচার জন্য খ্রিস্টানরা বনে জঙ্গলে পাহাড়ের গুহায় লুকিয়ে ছিলো। আসহাবে কাহাফ এর ঘটনা সকল ধর্মগ্রন্থে বর্ননা করা হয়েছে। নিজেদের নবী ও তার অনুসারীদের উপর এরূপ নির্যাতনের কথা খ্রিস্টান জগত ভুলে গেলেন কিভাবে? কিসের অভাবে, কার স্বার্থে ঈসা (আঃ) এর অনুসারী খ্রিস্টানরা অভিশপ্ত ইহুদী সম্প্রদায়কে বন্ধু মনে করে তাদের সহযোগী হচ্ছে?
খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের প্রথমার্ধ থেকে মুসলিম ও খ্রিস্টান শাসকদের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত শুরু হওয়ার পর মুসলিম সেনাবাহিনী যে সকল ভূখণ্ডে পা রেখেছে সে সকল ভূখণ্ডের অধিবাসীরা ছিল একচেটিয়া খ্রিস্টান। আপনাদের ইতিহাসেও এমন কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন না মুসলিম সেনাবাহিনী যুদ্ধের ময়দান ছাড়া বেসামরিক কোন নারী শিশু বৃদ্ধের উপর হাত তুলেছে। কিংবা তাদেরকে জোরপূর্বক তাদের পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদ করেছে। প্রকৃত ইতিহাস হলো মুসলিম সেনাবাহিনীর ইনসাফ পূর্ণ সুবিচার ও মৌলিক মানবীয় গুণাবলীতে আকৃষ্ট হয়ে লক্ষ লক্ষ খ্রিস্টান দ্বীন-ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় লাভ করে ধন্য হয়েছে। দ্বীন ইসলামে দীক্ষিত নব মুসলিমরাই পরবর্তীতে অস্ত্র হাতে যুদ্ধের ময়দানে খ্রিস্টানদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে এবং এই নব মুসলিমরাই ইসলামী তারকা খচিত পতাকা বহন করে ইউরোপের বুকের স্থাপন করেছিল। সবচেয়ে বড় কথা হলো আরব ভূখণ্ড থেকে শুরু করে আফ্রিকা এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত এ বিশাল ভূখণ্ডে জোরপূর্বক মুসলিম বানানো হলে কোথাও না কোথাও বিদ্রোহ হতো, এসব অঞ্চলের অধিবাসীরা দ্বীন ইসলাম ত্যাগ করে পুনরায় খ্রিস্টান হয়ে যেত, এরূপ কখনোই ঘটেনি। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী স্পেন ইসলামী খেলাফত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ১৪৯২ সালে খ্রিষ্টান রাজা ও রানী স্পেন দখল করে মুসলিমদেরকে “এপ্রিলের বোকা” বানিয়ে স্ব-বংশে হত্যা করেছে, আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। জাহাজে ভরে সাগরে ডুবিয়ে মেরেছে, সহায় সম্পদ কেড়ে নিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে। সবশেষে যাদের যাওয়ার কোন স্থান ছিল না তাদেরকে জোর করে খ্রিস্টান বানিয়েছে। এসবই তো সভ্য খ্রিস্টান জাতির ইতিহাস।
অথচ পাশ্চাত্য ইউরোপ আজ সভ্যতার দাবি করে কিন্তু এই সভ্যতা আপনাদের পূর্বপুরুষরা কার কাছে শিখেছেন, —ইতিহাস পড়ুন। আজকের ইউরোপ সভ্যতা ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষলাভ করেছে ইসলামী খেলাফত থেকে, মুসলিম স্পেন থেকে। ফ্রান্স সহ আধুনিক ইউরোপের রাষ্ট্রসমূহ যখন শৌচাগারের কথা স্বপ্নেও ভাবেনি তখন মুসলিমরা স্পেনে হাজার হাজার গোসলখানা ও শৌচাগার স্থাপন করেছিল। ইউরোপীয় দেশসমূহের হাজার হাজার শিক্ষার্থী সভ্যতা এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জন করার জন্য স্পেনের টলেডো, গ্রানান্ডা, মালাস্কা ও আল-হামরা প্রাসাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বিজ্ঞানাগারসমুহে গমন করতো। এইতো বেশি দিন আগের কথা নয়, উসমানীয় সালতানাত গোটা ইউরোপে সভ্যতার আলো জ্বালিয়েছে, আজও ইউরোপের বুকে ইসলামী অর্ধচন্দ্র খচিত পতাকা পত পত করে উড়ছে।
সভ্যতা ও সুশিক্ষার অন্তরালে ইউরোপীয়রা অসভ্য জঙ্গলী ও কুশিক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে দখলদার ইহুদীবাদ রাষ্ট্রকে সমর্থন যোগাচ্ছেন, অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন, ঠিক তখনই যখন ইহুদীবাদীরা ফিলিস্তিনের অসহায় নাগরিকের বিদ্যুৎ পানি ও খাবার বন্ধ করে দিয়েছে। অসহায় আহত ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিকবৃন্দ চিকিৎসা সেবা নিতে পারছে না, তাদের হাসপাতাল গুলো বিদ্যুৎ ও পানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ সভ্যতার দাবিদাররা এই অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণকে সমর্থন করে অস্ত্র ও রণতরি পাঠাচ্ছে। এজন্যই হয়তো বলা হয়—“চোরের মায়ের বড় গলা”।
পানির পাইপের তৈরি রকেট পাথরের গুলতিকে পাশ্চাত্য রাষ্ট্রগুলো এত ভয় পায় কেন? তাদের একটাই ভয় মুসলিম বিশ্ব একজোট হয়ে ফিলিস্তিনের জন্য অস্ত্র ও সৈনিক পাঠালে তাদের পাতানো –“মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ” উপড়ে ফেলবে। এই ভয়ে তারা মুসলিম বিশ্ব এগিয়ে আসার আগেই তড়িঘড়ি করে রণতরি ও অস্ত্র সাহায্য পাঠাতে শুরু করে, যাতে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ভয় পেয়ে অগ্রসর হওয়ার সাহস না পায়। হায়রে মুসলিম বিশ্ব “আমি দেখছি কি করা যায়(OIC)” এর দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। ওখানেও ইহুদীদের প্রেতাত্মার অনুপ্রবেশ ঘটেছে । বিজয় জাতির গর্বিত সন্তানেরা কাপুরুষের মত রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে ফিলিস্তিনের অসহায় শিশুর-“আমি আল্লাহকে সব বলে দেবো”–আর কতদিন শুনবেন । আর কত আহ উহ বলবেন–যার যা আছে তাই নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সময় এসেছে। সভ্যতার মুখোশ উন্মোচন হওয়ার পরেও– হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে ‘আলমে বরযখ এ মুসলিম পূর্বপুরুষেরা আপনাদেরকে দেখে লজ্জায় মুখ ঢাকবেন, সেদিন আপনারা গোত্র-পরিচয়হীন হয়ে যাবেন, আপনাদের কষ্টের সীমা থাকবে না।